এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ। ক্যারিয়ারে অসংখ্য রোমান্টিক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি তবে দর্শকের কাছে অভিনেতা বাপ্পারাজ মানেই ব্যর্থ প্রেম বা ট্র্যাজেডির গল্প! অর্থাৎ ত্রিভুজ প্রেম বা স্যাক্রিফাইসের গল্প নির্ভর সিনেমাগুলোর কারণে আজও এই নায়ক বেশ জনপ্রিয়! সম্প্রতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও সেখ বসিরকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই বেশ কয়েক দিন ধরে উপদেষ্টা নিয়ে নানারকম কথা হচ্ছে। এক আইনজীবী ফারুকী ও সেখ বসিরকে পদ থেকে সরিয়ে নিজেকে সেই পদে চান- এই মর্মে একটি আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন।
এদিকে উপদেষ্টা বিষয়ে সামাজিকমাধ্যমে গত কয়েক দিন ধরে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। এরমধ্যে রম্যবিষয়ক অনলাইন সাময়িকী ‘ইয়ার্কি’ বেশ কিছু কার্ড প্রকাশ করেছে। যেখানে মজা করেই উল্লেখ করা হয়েছে আর কোন কোন বিষয়ক উপদেষ্টা করা যেতে পারে। সেখানেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেতা বাপ্পারাজকে ব্যর্থ প্রেমবিষয়ক উপদেষ্টা উল্লেখ করে একটি কার্ড বানানো হয়। এটি অভিনেতার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে বাপ্পারাজ নিজে সেই কার্ডটি শেয়ার করেছেন। নিজের অভিব্যক্তিও জানিয়েছেন। বাপ্পারাজ বলেন, যেভাবেই হোক, মানুষ আমাকে মনে রেখেছে, আজকেও মনে করে, একজন শিল্পীর জীবনে এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কি হতে পারে।
তার এই পোস্টে নির্মাতা সাফি উদ্দিন সাফি লিখেছেন, সফল প্রেমের অনেক মুভিও আছে আপনার তাই জোর দাবি জানাচ্ছি আপনাকে প্রেমবিষয়ক উপদেষ্টা করা হোক। একজন নারী ভক্ত লিখেছেন, আমার সারাজীবনের প্রিয় নায়ক আপনি, যখন থেকে বুঝতে শিখেছি আপনাকেই মনেপ্রাণে প্রিয় নায়ক হিসেবে ভালোবেসেছি। আরেকজন লিখেছেন, একটা আমার অন্তরে তুমি, পাগলীর প্রেম, ভুলনা আমায়, বুক ভরা ভালোবাসা, ভালোবাসা কারে কয়, ভালোবাসার যুদ্ধ, বিদ্রোহী প্রেমিক, প্রেমের নাম বেদনা বাপ্পারাজকে বাঁচিয়ে রাখবে অনেক বছর! অন্যদিক দিয়ে বাবা কেন চাকর, সন্তান যখন শত্রু’র মতো শক্ত চরিত্রের জন্য রবে কিংবদন্তি হয়ে!
এদিকে এখন অভিনয়ে নিয়মিত নন বাপ্পারাজ। পরিবার ও ব্যবসা নিয়েই সময় পার করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেসব সিনেমা আমার কাছে আসে একই চরিত্র! বারবার একই চরিত্র করতে মজা লাগে না। বয়স হয়েছে, তাই ভারী কিছু চরিত্র করতে চাই। এখন এফডিসির বাইরে ভালো সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। কথাটা আরও পাঁচ বছর আগে বলেছিলাম। মিডিয়ার ডিরেক্টররাই ভালো করছে। তারা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এফডিসি সিনেমাটোগ্রাফি, নির্মাণ এবং কনসেপ্ট সবদিক থেকে পিছিয়ে আছে।
এদিকে বাপ্পারাজ অভিনীত ত্রিভুজ প্রেমের ‘প্রেমের সমাধি’, ‘প্রেমগীত’, ‘হারানো প্রেম’, ‘ভুলোনা আমায়’, ‘বুক ভরা ভালোবাসা’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’ এমন বেশ কিছু সিনেমা তাকে দিয়েছে অনন্য জনপ্রিয়তা। এ ছাড়াও ‘বাবা কেন চাকর’, ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘সৎ ভাই’, ‘জবাব চাই’ ইত্যাদি সিনেমাগুলো দিয়ে দর্শকের মন ভরিয়েছেন তিনি। বাপ্পারাজ কিছু নাটকও পরিচালনা করেছেন। তার মধ্যে আছে ‘কাছের মানুষ রাতের মানুষ’ এবং ‘একজন লেখক’। তিনি ‘কার্তুজ’ নামের একটি চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন।